Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

এসডিজি অর্জনে চাই সমন্বিত উদ্যোগ-কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক


প্রকাশন তারিখ : 2019-01-23

মাননীয় কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে চাই সমন্বিত উদ্যোগ। ২২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এসডিজি রোড ম্যাপ প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  কৃষিমন্ত্রী বলেন, এসডিজির রোড ম্যাপ লক্ষ্যপূরণ করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ কৃষির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। পেটে যদি খাবার থাকে তাহলেও মানুষ তাদের সঠিক শ্রম দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে। তাই খাদ্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

 

তিনি বলেন, আমরা প্রচুর পুষ্টিজাতীয় খাদ্য উৎপাদন করি, কিন্তু তা বিদেশে রফতানি করতে পারি না এটা আমাদের একটা ব্যর্থতা। তাই আমাদের নিজেদের পুষ্টিজাতীয় খাদ্যর চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করতে হবে। এতে করে দেশের অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে। কৃষকরা খাদ্য উৎপাদনের প্রকৃতমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই কৃষকদের সাহায্য করতে সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করছে তিনি আরও বলেন, কৃষি নির্ভর অর্থনীতির এই দেশে কৃষির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কৃষির বাজারজাত, বহুমুখীকরণ, কৃষিজাত শিল্প কারখানা এবং ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চয়তা ক্রমে বাজার ক্ষেত্র বিস্তৃতকরনের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, মানুষ এখন না খেয়ে আর মারা যায় না। দরিদ্র মানুষগুলোও পেট ভরে দুবেলা খেতে পারে। উত্তরবঙ্গে আর মঙ্গা নেই। সেখানকার মানুষ অনাহারে আর দিন যাপন করে না। আমরা ২০৩০ সালের ভেতর খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা ২০১৩ সালেই দানাদার খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এখন আমরা পুষ্টিজাতীয় খাদ্য উৎপাদনের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে চাই। দেশের মানুষের পুষ্টি খাদ্যর সমস্যা রয়েছে। সবাইকে পুষ্টিখাদ্যর আওতায় নিয়ে আসতে সরকার কাজ করছে।


কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সরকার এসডিজি অর্জনে কৃষিউন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প ২০২১,রূপকল্প ২০৪১ ও ডেল্পাপ্লান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের বিচক্ষণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, দক্ষ ও কার্যকর মূদ্রানীতি প্রয়োগ, সুষ্ঠ ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং ইতোমধ্যে গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিকট অতীত ও চলমান ধারার ন্যায় ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সম্ভব হবে।

 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো: কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজির বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড.সামসুল আলম এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব নাসিরুজ্জামান। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন এমেরিটাস সায়েন্টিস ড. কাজী এম. বদরুদ্দোজা।